Logo

আন্তর্জাতিক    >>   মন্ত্রিসভার বৈঠকের ডাক নেতানিয়াহুর, যুদ্ধবিরতি চুক্তির কথা নিশ্চিত করল ইসরাইল

মন্ত্রিসভার বৈঠকের ডাক নেতানিয়াহুর, যুদ্ধবিরতি চুক্তির কথা নিশ্চিত করল ইসরাইল

মন্ত্রিসভার বৈঠকের ডাক নেতানিয়াহুর, যুদ্ধবিরতি চুক্তির কথা নিশ্চিত করল ইসরাইল

ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে ইসরাইল ও হামাস একমত হয়েছে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় এ চুক্তির বিষয়ে নিশ্চিত করেছে। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ইসরাইলি মন্ত্রিসভা চুক্তিটির চূড়ান্ত অনুমোদন দিতে বৈঠকে বসবে।

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, মধ্যস্থতাকারী দল নেতানিয়াহুকে নিশ্চিত করেছে যে বন্দি মুক্তি এবং সংঘাত বন্ধের বিষয়ে একটি চুক্তি হয়েছে। তবে এই চুক্তি চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে শুক্রবার নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

চুক্তির মূল বিষয়সমূহ

১. জিম্মি মুক্তি: চুক্তির আওতায় প্রথম ধাপে বন্দি বিনিময় করা হবে।
২. যুদ্ধবিরতি কার্যকর: ১৯ জানুয়ারি থেকে ছয় সপ্তাহের জন্য সংঘাত বন্ধ থাকবে।
৩. সেনা প্রত্যাহার: গাজা থেকে ধাপে ধাপে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার করা হবে।
৪. ত্রাণ কার্যক্রম: চুক্তির অংশ হিসেবে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনায় অনুমতি দেওয়া হবে।

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে বলেছেন, “ইসরাইল যুদ্ধের সব লক্ষ্য অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর মধ্যে জীবিত ও মৃত জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা অন্তর্ভুক্ত।”

চুক্তি বাস্তবায়নের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে জিম্মিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। নেতানিয়াহু জানান, চুক্তি বাস্তবায়নে নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা জরুরি বৈঠক করবে।

চুক্তিটি বাস্তবায়নে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল-থানি বলেন, “এই চুক্তি সংঘাতমুক্ত অঞ্চলের দিকে এক ধাপ অগ্রগতি।”

যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উভয়েই এই চুক্তির বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।

চুক্তি চূড়ান্ত করার সময় কিছু মতপার্থক্য দেখা দেয়। ইসরাইল অভিযোগ করে যে হামাস চুক্তির শেষ মুহূর্তে কিছু নতুন শর্ত যুক্ত করার চেষ্টা করেছে। তবে হামাস এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে জানায়, তারা যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা ইজ্জাত আল-রিশক বলেন, “আমরা সংঘাত বন্ধে আন্তরিক এবং চুক্তি বাস্তবায়নে পূর্ণ সহযোগিতা করব।”

চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম ধাপে বন্দি মুক্তি এবং সংঘাত বন্ধ করা হবে।

- প্রথম সপ্তাহে: হামাস কয়েকজন জিম্মি মুক্তি দেবে।

- ছয় সপ্তাহে: ধীরে ধীরে গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার করা হবে।

দোহায় ইসরাইল, হামাস, যুক্তরাষ্ট্র এবং কাতারের প্রতিনিধিদের মধ্যে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই চুক্তি বাস্তবায়িত হলে গাজায় দীর্ঘমেয়াদী শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হবে।

ইসরাইল-হামাস যুদ্ধবিরতির এই চুক্তি শুধু দুই পক্ষের মধ্যকার সংঘাত বন্ধ নয়, বরং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার একটি বড় সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।





P.S 220 Winter concert

P.S 220 Winter concert